টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজারে দেলোয়ার (২৯) নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে বলৎকারের অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেধড়ক মারধর করেছে বশির আহমদ মেম্বার। নির্যাতনকারী হ্নীলা ইউনিয়নের এক নাম্বার ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার। মাদরাসা শিক্ষক দেলায়ারকে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে মাটিতে ফেলে পায়ের উপর পা দিয়ে বশির মেম্বার নিজে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে ।এই ভালরাল ভিডিওতে এমন অমানবিক নির্যাতনের দৃশ্য দেখে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠেছে । জানা যায়, মাও:দেলোয়ার (২৯)এর বিরুদ্ধে হেফজ খানার শিশু ছাত্র বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। গত ৩ই এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের দারুল উলুম মোহাম্মদীয়া নূরানী এবতাদায়ী মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে।পরের দিন শুক্রবার সকালে ঘটনার শিকার শিশুটি তার পরিবারকে গিয়ে বিষয়টি জানায়। শিশুটির পরিবার আত্মসম্মানের ভয়ে কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে বিষয়টি জানায়। তারা বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার বশিরকে জানালে, তিনি অভিযুক্ত দেলোয়ারকে নিয়ে শনিবার স্থানীয়দের উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠকের নামে অসাধারণ নির্যাতন চালিয়ে খালি স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাড়িয়ে দেন এবং বশির মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান মৌলভী দেলোয়ার ।এদিকে ছেলেটির বাবা তার ছেলেকে কোনো বলৎকার করেনি বলে জানান এবং ছেলের মায়ের কাছে জানতে চাইলে মা বলেন,আমার ছেলেকে বলৎকার করা হয়নি ,করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত মেীলভী। নির্যাতনের বিষয়ে মেম্বার বশিরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে,সমাধানের জন্য সে দু’য়েকটা মার দিয়েছে বলে জানান,আইন হাতে তুলে নেয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন ,আইন হতে নেয়াটা তার অপরাধ হয়েছে । এবিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।