নজরুল ইসলাম সিকদার।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৪ নং বাহারচড়া ইউনিয়নের বাহারচড়া রত্নপুর হাই স্কুলে হিন্দু ধর্ম শিক্ষক ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করায় এই বিক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। বিগত ৫ ই মার্চ ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষক না থাকায় অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বপন কান্তি দাশ শিবানন্দ দেবকে দশম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা ক্লাসের পরিবর্তে বাংলা ক্লাস করার জন্য পাঠাইলে শিবানন্দ দেব বাংলা ক্লাস না নিয়ে ইসলাম ধর্ম অর্থ কি? জিজ্ঞেস করিলে দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রাকিব উত্তরে বলেন “শান্তির ধর্ম ” তাৎক্ষনিক শিবানন্দ দেব বলেন কোন ডিক্সনারিতে আছে দেখাও বলিলে ছাত্র মোঃ রিদুয়ান ইসলাম শিক্ষা বই থেকে স্যারকে দেখালো এবং সে রাগে চোখ মুখ লাল করে চার জন ছাত্রকে বের করে দিয়ে ইসলাম ধর্মকে তুচ্ছ তাচ্ছিল কটুক্তি করতে থাকে। এই সময় ক্লাসে উপস্থিত থাকা অন্যান্য ছাত্ররা বলেন আমরা এখানে এসেছি শুধু বাংলা শিক্ষা গ্রহণ করতে আর বাংলা শিক্ষা নিয়ে ভালো চাকরি করার উদ্দেশ্য। আমার এখানে ইসলাম নিয়ে বিতর্ক করতে আসিনি। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা বলতে পারবে হুজুররা আমরা শিক্ষতে আসছি বাংলা। আমরা অন্য ধর্মের কেউ ইসলাম ধর্মকে আগাত করবে তা কোন মুসলিম সইতে পারবেনা বলে জানান। পরে ছাত্ররা অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপন কান্তি দাশ কে ডেকে নিয়ে অাসেন এবং তিনি শিবানন্দ দেবকে বলেন আপনাকে বাংলা ক্লাস করতে দিছি, আপনি ধর্ম নিয়ে কেন বাড়াবাড়ি করেন এবং তিনি শিবানন্দকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলিলে তিনি বের না হয়ে উল্টো ক্লাসে রুমে অবস্থান করেন। পরে স্বপন কান্তি দাশ ছাত্রদের ক্লাস থেকে ছুটি দিয়ে দেন। তবে তিনি এই ধরনের ঘটনা পূর্বেও বহুবার ঘটিয়াছে বলে প্রাক্তন ছাত্ররা জানান। উক্ত ঘটনার বিষয়ে অাজ মুসলিম ঐক্য পরিষদের সদস্যগণ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে এর যথাযথ ব্যবস্থার দাবী সহ শিবানন্দকে স্থায়ী বহিষ্কার, ধর্মীয় অনুশাসন পালনে ছাত্রছাত্রীদের স্বাধীনতা (যেমনঃ বোরখা,হিজাব) আলাদা ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের দাবী জানান। এই সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব ডা. মুহাম্মদ হাসান ছাত্র রফিক উদ্দীন (অভিভাবক) আবদুল আলিম, মাওলানা তৈয়ব বিন মুখতার (আহবায়ক), খোরশেদ চৌধুরী (প্রাক্তন ছাত্র) ছাত্র জমির উদ্দিন (অভিভাবক), মাওলানা আবুল ফয়েজ, রিদওয়ানুল হক বাহার (প্রাক্তন ছাত্র)সহ দুই শতাধিক স্থানীয় জনগন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে শিবানন্দ দেব,পিতা চিত্ত রঞ্জন দেব, ঠিকানা- উত্তর জলদী, পৌরসভা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওনার মতে এটা কোন ঘটনাই না, ছোট বিষয় বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বপন কান্তি দাশ এর সহিত কথা বলিলে তিনি বলেন অাগামী ১৭ তারিখ স্কুল কমিটির বৈঠকের মাধ্যমে একটা বিহীত ব্যবস্থা ও সিদ্ধান্ত নিবেন বলে অাশ্বস্ত করেন